
কাপ্তাই প্রতিনিধি:
কাপ্তাই উপজেলাধীন বিভিন্ন হাট-বাজারে
সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তালিকা অনুযায়ী করোনা শনাক্তের হারে রেড জোনে রয়েছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। সর্বশেষ তথ্য অনুয়ায়ী এই জেলার ৭ উপজেলার মধ্যে কাপ্তাইয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে উপজেলাটিতে করোনা সংক্রমন বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে।
এদিকে, বুধবার (১৯ জানুয়ারী) কাপ্তাই উপজেলা সদর বড়ইছড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাট দেখা গেছে, উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। সেসাথে কিছু ক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা গেলেও অধিকাংশ বিক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। এছাড়া সামাজিক দুরত্ব নেই বললেই চলে। গাদাগাদি করে ক্রেতা বিক্রেতারা ক্রয়-বিক্রয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া সরকার ঘোষিত করোনা সংক্রমন রোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করলেও কাপ্তাইয়ে এসব বিধিনিষেধ মানতে জনসাধারনের মাঝে অনীহা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
কিন্তু কাপ্তাইয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে
প্রচার-প্রচারনা নিয়মিত চলছে। পাশাপাশি প্রায়ই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন। এতেও জনসাধারনের মাঝে মাস্ক পরা নিয়ে রয়েছে যত অনীহা।
অপরদিকে, কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র সমূহ খোলা থাকায় সেখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানুষের আগমন ঘটছে। ফলে করোনা সংক্রমন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছে অভিজ্ঞ মহল।
এব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী ও করোনা ফোকাল পারসন ডাঃ ওমর ফারুক রনি বলেন, রাঙামাটি জেলা সদরের পর উপজেলা গুলোর মধ্যে কাপ্তাই উপজেলা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিদিনই এই উপজেলায় করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এঅবস্থায় যথাযথ ভাবে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, বিনা কারণে ঘর থেকে বের হয়ে বাইরে ঘুরাফিরা করা যাবেনা। ঘর থেকে বের হলেও সকলের মুখে অবশ্য মাস্ক থাকতে হবে। অন্যথায় সামনে আরো ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাঠকের মতামত